ডিজিটাল অনুষ্ঠানে নববর্ষ উদযাপন
প্রকাশ: ২০২০-০৪-১৪ ০৬:৪০:৩৪ 124 Views

উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের – এই স্লোগানে বঙ্গাব্দ ১৪২৭ কে ডিজিটালি আবাহন করলো ছায়ানট। রমনার বটমূলে বিগত কয়েক বছরের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সংকলিত অংশ সম্প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানে সমাপনী কথনে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন বলেন, মানবিক শক্তিতেই এই সঙ্কটকাল পেরিয়ে যাবে মানুষ।
অন্যদিকে, নববর্ষ উপলক্ষে ডিজিটাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, যা সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত হয়।
রক্তিম আভা ছড়িয়ে বছরের প্রথম সূর্য উঠল সুরের মূর্চ্ছনা ছাড়াই। ভৈরবী রাগে দুলে উঠলো না নবপত্রপল্লব। বাঙালির উৎসবে পড়েছে বিষন্নতার কালো ছায়া। নববর্ষে তবুও মানুষ গাইছে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’
প্রতিবছরের মত রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান হয়নি ঠিক। তবে, বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানের সংকলন নিয়ে ডিজিটালি হয়েছে সুন্দর ও শুভের আবাহন।
নিয়ম মেনে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন সমাপনী বক্তব্যে বললেন, এখন উৎসব নয়, বিপন্ন মানুষকে রক্ষা করার দিন। মহাসংকট বয়ে আনবে মহাপরিবর্তন। জয় হবে মানুষেরই। কামনা করি, বিচ্ছিন্নতা ও বন্দীত্ব পেরিয়ে নতুন উপলব্ধিতে নতুন বিশ্ব গড়বার প্রেরণা সঞ্চারিত হবে সবার মধ্যে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে নববর্ষের ডিজিটাল অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় সব টিভি চ্যানেলে।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ঘরে থেকে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানান।
‘মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।’ প্রতিকূলতা দমাতে পারিনি বাঙালিকে। কেটে যাবে এই দুর্যোগও। এমন প্রত্যাশা সবার।
ট্যাগ :
©2016 CHANNEL KORNOFULI (PVT) LTD (Reg no : 12384)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে আবেদিত।
Developed by CHOST